ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপ ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। মঙ্গলবার (১ জুলাই) আদালতের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সংবিধান লঙ্ঘন ও অসততার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৩৬ জন সিনেটর আবেদন করলে তা আমলে নেয় আদালত।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত পেতংতার্ন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়, যা নিয়ে দেশে-বিদেশে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। এ ফোনালাপে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ভাগাভাগির অভিযোগ উঠেছে, যা সংবিধান পরিপন্থি বলেই সিনেটরদের দাবি।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। রাজনীতিবিদ থেকে সাধারণ নাগরিক—অনেকেই তার পদক্ষেপকে ‘অযোগ্য’ ও ‘দায়িত্বহীন’ বলেও অভিহিত করছেন।
থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ইতিহাসে সিনাওয়াত্রা পরিবার বরাবরই আলোচিত-সমালোচিত। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় ফের এক সদস্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন।